স্বদেশ ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় বছরের মতো পবিত্র হজ পালন করা হচ্ছে। রোববার মক্কা থেকে পূর্বে মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে এই বছর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
রোববার পুরো দিন হাজীরা মিনায় অবস্থান নেবেন। সৌদি সরকারের ব্যবস্থাপনায় মিনায় অবস্থানরত ৬০ হাজার হাজীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদীনার মসজিদে নববীর সম্প্রচার করা হারামাইন ডট কমের টুইটার একাউন্টে হাজীদের তিন বেলা সরবরাহ করা খাবারের ছবি যুক্ত করে টুইট করা হয়েছে।
টুইটে দেখা যায়, হাজীদের আপ্যায়নে সকালের নাশতায় বিশেষ ব্রেকফাস্ট বক্সে ক্রয়সান্ট রুটি, মা’মুল বিস্কুট, জুস ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
দুপুরের খাবারে চিকেন বিরিয়ানি, সালাদ, ফল, জুস, পানি ও বিশেষ মিষ্টান্ন বাসবুসা দেয়া হয়।
এছাড়া রাতের ডিনারে লাসাইনা পাস্তা, রুটি, সবজি, কোলস্লো সালাদ, পুডিং, জুস ও পানি দেয়া হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সতর্কতায় এই বছর করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়া মাত্র ৬০ হাজার আবেদনকারী হজের অনুমতি পেয়েছেন। সৌদি আরবের বাইরে থেকে এই বছরও কোনো আবেদনকারীকে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। শুধু ১৫-৬৫ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
রোববার পুরোদিন মিনায় অবস্থানের পর সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্বে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হবেন হাজীরা। সেখানে হজের খোতবাসহ জামায়াতে যোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন তারা। সারাদিন আরাফাতে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যায় মিনা ও আরাফাতের মধ্যবর্তী মুজদালিফায় গিয়ে হাজীরা অবস্থান নেবেন।
মুজদালিফায় একত্রে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে সেখান থেকে মিনায় শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপের জন্য নুড়িপাথর সংগ্রহ করবেন তারা।
সারারাত মুজদালিফায় অবস্থানের পর মঙ্গলবার মিনায় গিয়ে হাজীরা তিন জামরাতে শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপ, কোরবানী ও চুল কাটার মধ্য দিয়ে ইহরাম থেকে মুক্ত হবেন।
এই বছর মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ বানদার বিন আবদুল আজিজ বালিলা আরাফাতের দিনে হজের খোতবা দিবেন।